গাজীপুরে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার পর ইজতেমা মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বুধবার দুপুর ২টার পর মাঠ ছাড়তে শুরু করেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী অনুসারীরা। বিকেল ৫টার দিকে খালি হয়ে যায় প্রায় পুরো মাঠ।
টঙ্গীর তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম তীরের কামারপুর, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ ও এর আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) নিরাপত্তা জোরদার করেছে কর্তৃপক্ষ।
টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামায়াতের মাওলানা সাদ ও তাদের অনুসারীদের জোর ইজতেমাকে ঘিরে গত কয়েক দিনের অব্যাহত বিরোধের জেরে ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ ২ জন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ধর্মীয় সংঘাত উসকে না দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তাবলিগ জামাতের মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীরা। পাশাপাশি তারা মাওলানা জোবায়ের আহমদের অনুসারীদের সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারীদের ঢাকার টঙ্গীসহ দেশের কোথাও ইজতেমা করতে না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন মাওলানা জোবায়ের আহমদের অনুসারীরা। তাদের দাবি, সাদপন্থীরা তাবলিগ জামাতের নামে কার্যক্রম পরিচালনা করলেও আদতে তারা তাবলিগ নয়।
টঙ্গী ইজতেমায় ভারতীয় মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতের দাবিতে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ঘেরাওয়ের জন্য অগ্রসর হন সাদপন্থি তাবলিগ জামাতের একাংশের মুসল্লিরা।